শ্রাবণের বন্ধু

শ্রাবণ

একটি নামও বটে।

তিনি অত্যান্ত মেধা সম্পূর্ণ এবং বুদ্ধিমান মানব।মানুষ

কে খুব ভালবাসেন।তবে হ্যাঁ,যে মানুষ গুলো ভাল হয়

তাদেরকেই।কারণ তারা বুঝে যে আসলে ভালরা

সর্বস্থলে ভালটাই বজায় রাখে।তারা কখনো কাউকে

প্রতারিত হতে দেয় না,বরং উজ্জল, আলোকিত পথ

দেখিয়ে দেয়।

এমনটাই ঘটে ছিল এই লোকটার বিপরীতে।তিনি তখন

সম্ভবত হাই স্কুল ছেড়ে কলেজে উঠেছে।সম্ভবত

নয়,আসলে সে সময়ই।স্কুল জীবনে তিনি অসংখ্য

শুভাকাঙ্ক্ষা,বন্ধু-বান্ধব রেখে এসেছেন।কিন্তু তাদের

কে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে।কি আর করবে?জীবন কে

রাঙাতে হলে তো কিছু ত্যাগ করতে হবে।

প্রথম দিন কলেজে এসে কারো সাথে কথা বলছিল না।

শিক্ষকরা বক্তব্য দিচ্ছে। মনোযোগ দিয়ে তিনি শ্রবণ

করছিলেন।হঠাৎ পাশের দুই তিন জন লোকের সাথে একটা

দুইটা কথা বলতে বলতে আলতো আলতো পরিচয় হয়।এক সময়

নাম্বার নিল।বাচ,হয়ে গেল কয়েক টা নতুন বন্ধু।সেদিন

বৃষ্টি ছিল।বৃষ্টির দিনে কার না মন ভাল থাকে?কিন্তু

সেই দিনটাই শ্রাবণের ভাল কেটেছে।পেয়েছে নতুন

সাথী,নতুন স্যার,নতুন আঙ্গিনার অঙ্গন।খুশি মনে রাস্তার

পচা দূগন্ধ পানিতে বন্ধুদের সঙ্গে টিপ টিপ পায়ে হেটে

কিছু পথ গেল।কিছু দূর যাওয়ার পর বন্ধুদের বিদায় দিয়ে

গাড়িতে উঠে পড়ল এবং বাসায় চলে গেল।

আর বাসায় গিয়ে সে প্ল্যান করতে লাগল,আজ যে ক'জন

কে দেখেছি তাদের মধ্যে তিন জনকে খুব ভাল লেগেছে।

খুব মিষ্টি করে হাসে,কথা বলে।এদেরকে আমার সহপাঠী

বানাতে হবে।এরাই আমার উপযুক্ত।পরদিন খুব সকালে

ক্লাসে গেল।স্যারও সকালে এসেছে।স্যার সবার সাথে

কথা বলছে,পরিচয় হচ্ছে।শ্রাবণ তার বন্ধুদের পাশে বসে

আছে জমজমাট ছাত্র ছাত্রীর মাঝে।হঠাৎ শ্রাবণ কে

স্যার জিজ্ঞেস করল

স্যার :কি নাম তোমার?

শ্রাবণ:আজ্ঞে,আমার নাম হইল শ্রাবণ।

স্যার:বাহ্ অনেক সুন্দর নাম।এখন বাংলা কোন মাস

জানো?

শ্রাবণ:জ্বি স্যার,শ্রাবণ মাস।

ক্লাসের সবাই হেসে দিল।কারণ শ্রাবণের নামের সাথে

বাংলা চলতি মাসটা মিশে আছে।

এরই মধ্যে দুটি ছাত্র প্রথম দিনই দেরিতে আসল।

ছাত্র (নাহিয়ান):স্যার আসব?

স্যার:প্রথম দিন এত দেরি কেন?

ছাত্র:স্যার অনেক আগে আসছি।কিন্তু রুম খুজে পাচ্ছি

না।

স্যার:ওহ আসো।কি নাম তোমাদের?

নাহিয়ান:স্যার আমি নাহিয়ান।

স্যার :আর তুমি?

তাহসান:স্যার আমি তাহসান।

স্যার :ঠিক আছে।সময় মত ক্লাসে চলে আসতে চেষ্টা

করবা।

সবাইকে বিদায় দিয়ে স্যার চলে গেলেন।

ছাত্র ছাত্রীরা যে যার সাথে ছিল তার সাথেই কথা

বলছিল।নাহিয়ান আর তাহসান চুপচাপ সবার পেছনে

পেছনে হাটতে লাগল পরবর্তি ক্লাস যেখানে হবে

সেখানের উদ্দশ্যে।

ক্লাসে ডুকে দেখতে পেল ৩/৪টা মেয়ে তাদের দিকে

তাকিয়ে আছে।একজনে বলল কি তোমাদের এত দেরি হল

কেন?নাহিয়ান বলল,আরে আমরা ক্লাস খুজে পাচ্ছিলাম

না।

নাহিয়ান সবার সাথে কথা বলছিল,আর তাহসান শুধু সম্মতি

সূচক কথা বলছে।নতুন ক্লাসে তারা কয়েক জনের একটা

নতুন পরিচয়ে বন্ধু হল।শ্রাবণও তাদের কে বন্ধু বানাল।

মুক্তা,চৈতি,রিমু,তাহসান, নাহিয়ান মিলে একটা বন্ধু

গ্রুপ হল।বেশ ভালই লাগছে।কিন্তু কিছুদিন পর নাহিয়ান

তার নিজ গ্রামে চলে গেছে সবাই কে ছেড়ে।শ্রাবণ সহ

সবার মন টা ভারী হয়ে গেল।তাহসান এত দিনে সবার

সাথে মিশতে শিখে গেছে।সবাই কে আগলিয়ে রেখেছে।

শ্রাবণ বাসায় তাহসানের কথা বলত।বাসার সবাই সে

হিসেবে তাহসান কে চিনত।ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব জমে

উঠতে শুরু করল।আবার মাঝে মাঝে ঝগড়া করত।কিন্তু

আবার হেসে সব উড়ে দিত।তাহসান বেশি ঝগড়া করত।

একটু পেচাল ছিল।কিন্তু ঝগড়া করলে কি হবে?

ভালবাসতেও জানে।শ্রাবণ মাঝে মাঝে রেগে যেত

তাহসান এর উপর।আবার অন্য বন্ধুরা মিলে মিটে দিত।

শ্রাবণের রাগের মধ্যে ছিল এক অপূর্ব ভালবাসা।তাহসান

কে ভায়ের মত জানে।কিন্তু মাঝে মাঝে শ্রাবণ চিন্তা

করে আমি কি মুক্তা,চৈতি,রিমু এবং তাহসান কে ভাল

বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করতে পেরেছি?

দূর কি সব আলতু ফালতু চিন্তা করছি?ওরা যদি ভাল বন্ধু

না হত তবে কি এত উপকার পেতাম?বিশেষ করে তো

তাহসান।ওকে অনেক সময় ডিস্টার্ব করতাম।ও কখনো না

করত না।যেমন ছেলে,তেমন চরিত্র।যথার্থ বন্ধু।

সামনে ফাইনাল পরীক্ষা।পরীক্ষার পর কে কোন

ভার্সিটি তে যাবে কে জানে?

ইন্টার পরীক্ষার গুটি কয়েক দিন আগে সবার সাথে তুমুল

ঝগড়া হয়ে ছিল।কিন্তু কি বিষয় নিয়ে সবার সাথে হয়

সেটা জানল না তাহসান।তবে শ্রাবণের সাথে কবিতা

লিখা নিয়ে হয়েছিল।মূলত শ্রাবণের সাথে তাহসান এর

ঝগড়া নিয়ে কারো সাথে ঠিক ভাবে কথা বলত না।

তাহসান কি এক যাদু বা ম্যাজিক দেখিয়ে সবাই আবার

সব ঝগড়া ভুলে এক হয়ে গেল।কিন্তু রিমু হল না।রিমু

তাহসান কে মনে হয় দেখতেই পারছে না।তবুও তাহসান

ঘনঘন খবর নিত।আর তো মাত্র কয়দিন।এর পর তো সবাই

ব্যস্ততায় ভিড়বে।

এরই মধ্যে সবার অবস্থা স্বাভাবিক। পরীক্ষার মাত্র ২

দিন বাকী।হঠাৎ শ্রাবণ তাহসান কে অহেতুক ভাবে ভুল

বুঝতে শুরু করল।কথা বলছে না।তাহসান অনেক গুলো

মেসেজ পাঠিয়েছে,কোন মেসেজের রিপ্লে করে নাই।

তাহসান নিজেকে অপরাধী মনে করতে শুরু করল।তবুও

শ্রাবণ কে জিজ্ঞেস করল-----

:কিরে কথা বলবি না?আচ্ছা,ঠিক আছে। যাহ,কথা বলা

লাগবে না।

:-আমি বলি নাই লাগবে।

তাহসান চমকিয়ে উঠল।নিজে নিজে ভিড় ভিড় করে

বলছে, শ্রাবণ এতটা নিষ্ঠুরের মত করছে কেন?

বিষয়টা মুক্তা,চৈতিকে জানাল।কেন এমন করছে?

পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল।প্রথম দিন পরীক্ষা শেষে নিচ

তলায় তাহসানের জন্য মুক্তা আর শ্রাবণ অপেক্ষা করছে

সিড়ির গোড়ায়।

মুক্তা:এই তাহসান....

তাহসান :মুক্তা কেমন আছিস?

মুক্তা:ভাল,তুই?

তাহসান:ভাল।শ্রাবণ কেমন আছিস?

শ্রাবণ :(কিছুক্ষণ চুপ থেকে)ভাল।

তাহসান:এখনো রাগ?

শ্রাবণ:(চুপচাপ)

তাহসান :মাইর দিব একটা।কথা বলিস না কেন?

শ্রাবণ :দে

তখনি মুক্তা বলে উঠল,

মুক্তা :চৈতির খারাপ লাগছে।দেখ না।

তাহসান:চমকিয়ে উঠল,কি বলিস?

মুক্তা :হুম,ওখানে আছে এখন।আমরা তোমাকে বলতে

আসছি।

পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে।শ্রাবণ তাহসানের সঙ্গে

কথা বলছে না।তাহসান কে দেখেও হেঁটে চলে যায়।

পরের পরীক্ষা শুরুর পূর্বে তাহসান শ্রাবণ কে জিজ্ঞেস

করল:কেমন আছিস শ্রাবণ?

শ্রাবণ :(১০সেকেন্ড চুপ থেকে)ভাল।

তাহসান আর কিছু বলার মত খুঁজে পাচ্ছিল না।কোন একটা

পয়েন্ট খুজে সামনে অন্য দিকে হেটে চলে যায়।আবার

পরীক্ষা শেষে দেখল শ্রাবণ একা একা রোদে দাড়িয়ে

আছে।তাহসান দেখতে পেল।কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল-

কিরে একা দাড়িয়ে আছিস কেন?

শ্রাবণ :(বিরক্তি কন্ঠে) চৈতিদের জন্যে।

তাহসান :ওহ,পরীক্ষা কেমন হল?

শ্রাবণ: (অন্যদিকে তাকিয়ে),ভাল।

তাহসান আর কিছু বলল না।চলে এল সেখান থেকে।

ইতিমধ্যে ইন্টার পরীক্ষা শেষ।শ্রাবণের সাথে

তাহসানের কোন যোগাযোগ নাই।হঠাৎ শ্রাবণের কেমন

কেমন লাগছিল।কিছুতেই মন বসছে না।যাওয়া হচ্ছে না

কলেজে।সময় গুলো কাটছে না।কোথাও যেন হট্টগল

বেধেছে।রাতে ঘুমিয়ে পড়ল।হঠাৎ তাহসানকে খুব

দরকারে পড়ল।তাহসান ছাড়া কেউ ওকে সমস্যা সমাধান

দিতে পারবে না।তাহসান কে ডাকছে।রাস্তায় শ্রাবণের

পাশে দিয়ে হেটে যাচ্ছে নিষ্ঠুরের মত।জোরে চিৎকার

করে তাহসান বলে ডাক দিল।তখনি দেখল শ্রাবণের রুমে

শ্রাবণের মা হাজির।স্বপ্নে একি দেখতে পেলাম।

মা,তাহসানের কিছু একটা হয়েছে।মা সান্তণা দদিয়ে

বলছে না কিছু হয়নি। তুই স্বপ্নে উল্টা পাল্টা দেখেছিস।

তাড়াতাড়ি রাতের গভীরে তাহসান কে কল করল।

তাহসানের মোবাইল টা বন্ধ বলছে।শ্রাবণের ভিতর টা

কেমন যেন নড়ে উঠল।তাহসান আমার সবচেয়ে ভাল

বন্ধু,কখনো খারাপ কাজ করে না,খারাপ ছেলেদের সঠিক

পথে আসার জন্যে আহবান করে।

না,আমি তাহসানের সঙ্গে এ কেমন আচরণ করলাম।কাল

ওকে সরি বলব।সঙ্গে সঙ্গে রাত ৩ টায় মুক্তা,রিমু,চৈতি

ি কে কল করে বিষয় টা বলল।তাহসান কে সরি বলতে

যাবে।ওরাও যেতে সম্মতি দিল।

পরদিন সকালে ১০ টায় ওরা চার জনে মিলেই তাহসানের

বাড়ির তে গেল।শ্রাবণ খুব আশা নিয়ে আসতেছে।তার

বিশ্বাস, তাহসান তাকে মাপ করে দিবে।

গাড়ি এসে থামল তাহসান এর বাড়ির দরজা সামনে।গাড়ি

থেকে নেমে দেখল,তাহসানদের বাড়িতে অনেক লোক।

মনে হয় কোন অনুষ্ঠান। দূর থেকে শ্রাবণ, মুক্তা,রিমু,চৈতি

ি এক জন আরেক জন কে বলছে - যাহ্ সঠিক সময়ে আসছি।

কাছে গিয়ে অবস্থার পরিণতি।তাহসানদের বাড়ীতে

শোকের মাতম চলছে।

মানুষের ভিড় ঠেলে ভিতরে গেল।তাহসানের ছোট বোন

ওদের দেখে চিনতে পারল।এর আগেও কয়েকবার

দেখেছিল।ওদের জড়িয়ে ধরে কান্না করছে।এখনো

শ্রাবণরা ঘটনা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারে নিই।তবে কেউ

মারা গিয়েছে সেটা অনুমান করতে পেরেছে।

তাহসানের ছোট বোন তারমিন বিলাপ ধরে কাঁধছে।তখন

মুক্তা জিজ্ঞেস করল"তারমিন কি হয়েছে?কাঁদছ কেন?

তারমিন কান্নায় বলতে লাগল -

"আমার ভাই এ কি করল?কেন আমাদের ছেড়ে ওপারে

পারি দিল?ও আপু তোমরা ভাল জানবে, তোমরা ওর

কাছের বন্ধু।কি দোষ করেছি আমরা?কেন একা ফেলে

চলে গেল"?

এসব কথা শুনার সাথে সাথে শ্রাবণদের বুঝতে আর বাকী

রইল না।চার জনেই হু হু করে কাঁদতে শুরু করল।পুরো বাড়ি

তে ওদের আর্তনাদ।চোখের পানি মুখ বেয়ে ওড়নায় পড়ে

ভিজে গেল।চিৎকার করে কাঁদছে।শ্রাবণ কাঁদতে কাঁদতে

মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করছে।আর তাকে কষ্ট দেয়া কথা

গুলো বলেই যাচ্ছে। উঠান ভর্তি লোক তাদের কে শান্ত

করতে পারছে না।

তাহসান এখন ঘুমে।আর কখনো উঠে বসবে না।কিছুক্ষণ

পরে একা একটা ঘরে রেখে আসা হবে।

লাশের পাশে শ্রাবণ,রিমু,চৈতি,মুক্তা,তারমিন বসে বসে

বিলাপ ধরে কান্না করছে।কান্না করে কি হবে আর?

তাহসান তো আর মিষ্টি করে হাসবে না।পাড়ার গরীব

দুস্থদের পাশে দাড়াবে না।কারো খেলার সাথি হবে না।

অসৎ পথে হারিয়ে যাওয়া ছেলেদের সৎ পথে ডাকবে না।

বন্ধুদের পাশে থাকবে না।

কিছুক্ষণ পর তারমিন সহ শ্রাবণরা তাহসান এর রুমে ডুকল।

সবাই রুমে ডুকে শুধু চেয়ে আছে।শ্রাবণ গিয়ে পড়ার

টেবিলে পড়ে থাকা তাহসানের ডাইরীটা তুলে নিল।

ডাইরীর মাঝ পাতা উল্টাতেই যেন শ্রাবনের মাথায়

আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।

"হে আমার প্রিয় বন্ধু মুক্তা,শ্রাবণ,চৈতি,রিমু,

আজ তোদের নিয়ে লিখতে বসলাম।কি লিখব?লিখে তো

তোদের সম্পর্কে শেষ করা যাবে না।আমার সব সময়

তোরা ছিলি।গত ১০ বছরের বন্ধুরা যা করেছে,তোরা ২

বছরে তা উপহার দিয়েছিস।তোরা আসিস,থাকবি সব

সময়ই।তোদের কে অনেক কষ্ট দিয়েছি।তোদের কাছে

যখন যা চেয়েছি তখন তা পেয়েছি।

একটা ইচ্ছে ছিল,আমার ছোট বোনকে তোদের দলে

ভিড়িয়ে নিস।...............(আরো অনেক আবেগ জড়িত কথা

ছিল)

এর পর সবাই কে নিয়ে সবার সম্পর্কে অনেক কথা লিখা

ছিল ডাইরীতে।সবার শেষে শ্রাবণের কথা লিখা।

প্রিয় বন্ধু শ্রাবণ,

অনেক কষ্ট দিয়েছি তোকে।পথে ঘাটে,জন সম্মুখে জেনে

না জেনে তোকে অপমানিত করেছি।যার ফলে তুই মনে হয়

আমার উপর ভীষণ রাগ করছিস।তোর রাগ ভাঙ্গাতে অনেক

বার তোর কাছেই গিয়েছি।তুই পাত্তা দিস নাই।হুমম

জানি, তুই ঠিকই ঐসব ভূলে গিয়ে একদিন আমার কাছে

আসবি।হয় তো সে দিন আমি তোকে(দুষ্টুমি করে) পাত্তা

দিব না।তবে তুই যাদের কে বন্ধু বেচে নিয়েছিলি,তারাই

তোর আসল বন্ধু।কখনো ওদের হারাতে যাবি না।আমার

বিশ্বাস, তুই সবাই কে আগলে রাখবি।

এসব পড়তে পড়তে শ্রাবণের মুখ বেয়ে অশ্রু গড়াচ্ছে।এ

পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে।সবাই জ্ঞান

ফিরানোর চেষ্টা করে।

এ দিকে তাহসান কে দাফন করার সময় হয়ে গেল।জ্ঞান

ফিরল শ্রাবণের। দৌড়ে উঠানে গিয়ে তাহসান এর

খাটিয়া ধরে কাঁদছে,বলছে,দেখ আমি সব ভুলে গিয়েছি।

আমি তোর সাথে কথা বলতে এসেছি।তুই কথা না বলে

শুয়ে আছিস কেন?বাড়িতে মেহমান আসলে কেউ শুয়ে

থাকে?উঠ না রে ভাই।আর কত শুয়ে থাকবি?সবাইকে

পরিচয় করিয়ে দে তুই শ্রাবণের বন্ধু।


লেখকঃ

ওবাইদুল্যাহ ফারুক জাওহার।

চট্টগ্রাম।

০৮.০৬.২০১৭ইং

Comments

Popular posts from this blog

একটি রাত খুঁজছি || মুহাম্মদ ওবাইদুল্যাহ্ ফারুক ||লাইলাতুল কদর